বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। এর ঝাঁঝ অতি মারাত্মক। মানবসমাজে কত ধরণের প্রেমই তো আছে! তবে যত ধরণের প্রেমই থাকুক না কেন ‘পরকীয়া’ প্রেমকে সবাই একটু ভিন্ন চোখে দেখে। এটাকে অনেক সময় ‘বিশেষ’ ধরণের প্রেমও বলা হয়! এই ধরনের সম্পর্কগুলোতে আবেগীয় বিষয়টাই বেশি প্রাধান্য পায়। মহিলাদের মধ্যে পরকীয়া এদেশে এখনো ততোটা জনপ্রিয় নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে। পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি কম বয়সী কোন অল্প বয়সী মহিলা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন।…
মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকেন। ৩০-৪৮ বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয়।
পরকীয়া প্রেম কেন হয়?
পরকীয়ার প্রথম কারন হলো আপনি হয়তো আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে সময় দিতে পারছেন না। একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না…
দেওয়ার কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। স্বামী অথবা স্ত্রী এমন কাউকে খুজতে থাকে যার সাথে তার একাকীত্ব ঘুচে যায়। এমন কাউকে খুজতে থাকা থেকেই পরকীয়ার সূত্রপাত।
ছেলে ও মেয়েরা কিন্তু একই কারণে পরকীয়ায় জড়ায় না। মেয়েরা মূলত পুরুষের বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগীয় ও অর্থ সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এবং শারীরিক চাহিদা থেকে পরকীয়ায় জড়ায়। অন্যদিকে পুরুষরা সাধারণত বহুগামী মানসিকতা থেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে থাকে। আপনার বন্ধুবান্ধব পুরুষরা কেউ যদি পরকীয়া করে থাকে দেখবেন তাদের পরকীয়ার গল্পে যৌন কর্মকাণ্ডের কথাই বেশি থাকে। অন্যদিকে নারীরা তাদের প্রেমিকের বুদ্ধিবৃত্তিক ও আবেগীয় কর্মকাণ্ড বলতে বেশি পছন্দ করে।
প্রত্যেক স্বামী এবং স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক কিছু চাহিদা আছে। যখন এসব চাহিদা পূরণ হয় না, স্বপ্নভঙ্গের ব্যথায় কষ্ট পায় মন-মূলত তখনই পরকীয়ার সূত্রপাত ঘটে।
একে অপরের প্রতি উদাসীনতা ধীরে ধীরে একজন স্বামী থেকে একজন স্ত্রীকে আলাদা করে ফেলে, বা একজন স্ত্রী থেকে স্বামীকে আলাদা করে ফেলে। বেড়ে যায় মানসিক ব্যবধান। যার কারণে শুরু হয় মনোমালিন্য। এবং অবশেষে পরকীয়া।
স্বামী অথবা স্ত্রী যদি চাকুরীজীবি হয়ে থাকে তাহলে তারা তাদের অফিসের বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে অধিকাংশ নারী বিবাহের পর বাকি জীবনটা গৃহবধূ হিসাবে পার করে দেয়। এসব গৃহবধূদের অনেকেই বিবাহ পরবর্তী একাকীত্ব ঘুচাতে তাদের কোন আত্নীয় সম্পর্কের অথবা প্রতিবেশী কারও সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় ।
অফিস সহকর্মী কিংবা বন্ধুবান্ধবদের পরকীয়ার গল্প শুনতে শুনতেই অনেকে নিজের জীবনেও সেই উত্তেজনা খুঁজতে গিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আমেরিকার নিউ ওমেন ম্যাগাজিনের জরিপে জানা যায় চাকরিজীবী বিবাহিত নারীরা তাদের কর্মস্থলেই ‘লাভার’-দের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করে থাকেন। আমেরিকান সমাজে অবিশ্বস্ততার হার দিনে দিনে বাড়ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে জানা যায় যে, ২৫ শতাংশ পুরুষ পরকীয়া করছে এবং ১৭ শতাংশ নারী তাদের স্বামীদের প্রতি বিশ্বস্ত নয়।
Social Plugin