গোসলঘরে দাঁড়িয়ে সেলফিটা তুলেছিল মেয়েটি, বিবসনা। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে সেটি পাঠায় তার বন্ধুর কাছে। কিন্তু না, কোথাও ভুল হয়েছে। ছবিটা চলে গেছে অন্য ঠিকানায়। সেখান থেকে পুরো বাজারে।
বলছিলাম ভারতের একদল তরুণের তৈরি জনসচেতনতামূলক একটি ভিডিও-র কাহিনি। বাস্তবেও এমন ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় এখন মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন। এর সুফল অনেক। মানুষ এখন অনেক কিছু সহজেই জানছে, বুঝতে পারছে। জীবন এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। খুবই ভালো ব্যাপার।
তবে প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও রয়েছে। তার একটি নগ্ন
সেলফি। নগ্নতার প্রতি মানুষে আকর্ষণ দুর্নিবান। আর স্মার্টফোন সেই
আকর্ষণে যোগ করছে বাড়তি মাত্রা। ছেলেবন্ধু একটু জোড়াজুড়ি করলেই তাই এ
প্রজন্মের অনেক মেয়ে নিজেই তুলছে নিজের নগ্ন ছবি। এরপর পরম বিশ্বাসে তা
হোয়াটসঅ্যাপ করছে বন্ধুর কাছে। সেই বন্ধুটি হয়ত বিশ্বস্তও। কিন্তু সামান্য
একটা টাইপের এরর ছবিটা পাঠিয়ে দিতে পারে ভুল গন্তব্যে। আর সেখান থেকে লাখো
কপি হয়ে তা ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
নগ্নতাকে পুঁজি করে তৈরি হচ্ছে অ্যাপ
ইতোমধ্যে অনেক অ্যাপ তৈরি হচ্ছে শুধু নগ্নতাকে পুঁজি করে। স্ন্যাপচ্যাটের কথাই ধরুন৷ প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা দম্পতি যারা একে অপরকে নগ্ন ছবি, ভিডিও পাঠাতে পছন্দ করেন, তাদের এক প্রিয় অ্যাপ এটি৷ অ্যাপটিতে কোনো ছবি বা ভিডিও দেখার পর সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়৷ অনেকে তাই বিশ্বাসের সঙ্গে সেই অ্যাপে ছবি, ভিডিও আদান-প্রদান করে৷
বাস্তবতা হচ্ছে, স্ন্যাপচ্যাট মোটেই নিরাপদ নয়৷ কেননা, স্মার্টফোনে স্ক্রিনশট নেয়ার একটা অপশন আছে৷ সেটা ব্যবহার করে স্ন্যাপচ্যাটে পাঠানো ছবি বা ভিডিও-র স্ত্রিনশট নেয়া মুহূর্তের ব্যাপার৷ আর ডিজিটাল দুনিয়ায় কোনো কিছু ছড়িয়ে যাওয়া রোখা কার্যত অসম্ভব৷
বলছি না যে, নগ্ন ছবি যারা স্বপ্রনোদিত হয়ে তোলেন সব দায় তাদের৷ সমস্যা হচ্ছে, সেসব ছবি বেহাত হওয়ার শঙ্কা অনেক৷ আর আমাদের সমাজে নগ্নতা তো বহুদূরের ব্যাপার, একটু ঘনিষ্ঠ ছবিও বেহাত হলে বিপদে পড়েন অনেকে৷ এই তো, কিছুদিন আগেই হালের জনপ্রিয় নায়িকা পরী মনির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে৷ সেসব ছবি যে তার নয়, সেকথা সরাসরি বলেননি তিনি৷ বরং ইন্টারনেটে হয়রানির শিকার হয়ে রাতারাতি বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন নায়িকা৷
প্রয়োজন সচেতনতা, আইনের প্রয়োগ
বাংলাদেশি মডেল প্রভার সেক্স ভিডিও এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেটে৷ ছেলেবন্ধুকে হয়ত অনেক বিশ্বাস করেছিলেন তিনি৷ তাই ভিডিও করার সময় ছিলেন বেশ সক্রিয়৷ কিন্তু সেই বিশ্বাস নষ্ট হতে বেশি সময় লাগেনি৷ ফলাফল ইন্টারনেটেই দেখা যাচ্ছে৷ স্মার্টফোনে ছবি তোলা বা ভিডিও করার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা আপনাকে রক্ষা করতে পারে বড় বিপদ থেকে, আর সেটা নারী ও পুরুষ – উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
পাশাপাশি দরকার সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ৷ বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন আছে৷ সেই আইনের আওতায় অভিযোগও জমা হচ্ছে প্রচুর৷ ফলে এক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে আইনে নতুন ধারা বা নতুন আইন প্রণয়নের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷ জার্মানিতে যেমনটা হয়েছে কিছুদিন আগে৷ আদালত জানিয়েছে, সাবেক সঙ্গীর নগ্ন বা ঘনিষ্ঠ ছবি মুছে ফেলতে হবে৷ অর্থাৎ কোনো দম্পতির যদি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বা কোনো প্রেমিক-প্রেমিকা যদি আলাদা হয়ে যায়, তাহলে একজন চাইলে অন্যজনকে তাদের ছবি সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে৷ এরকম আইন বাংলাদেশেও কাজে আসতে পারে৷
প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধের পরিধিও বাড়বে, এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই৷ তবে নিজেকে সেই অপরাধের ভুক্তভোগী করতে না চাইলে সবসময় সচেতন থাকতে হবে৷ নগ্ন ছবি হোক কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হ্যাকারের হানা – সচেতন হলে অনেকটাই মোকাবিলা সম্ভব৷ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের থাকা অ্যাকাউন্ট থেকে কিছুদিন আগে চুরি হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা৷ প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, সেটি ফেডারেল রিজার্ভের গাফেলতিতে হয়েছে৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাংকে সব নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের, মানে যার অ্যাকাউন্ট তার নামে, তার বেশেই টাকা ‘ট্রান্সফার’ করতে বলা হয়েছিল৷ ফলে অ্যামেরিকার ব্যাংকটি টাকা দিতে অস্বীকার করতে পারেনি৷ তাহলে দায়টা এখানে কার? সচেতনতায় ঘাটতি কার ছিল?
ইতোমধ্যে অনেক অ্যাপ তৈরি হচ্ছে শুধু নগ্নতাকে পুঁজি করে। স্ন্যাপচ্যাটের কথাই ধরুন৷ প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা দম্পতি যারা একে অপরকে নগ্ন ছবি, ভিডিও পাঠাতে পছন্দ করেন, তাদের এক প্রিয় অ্যাপ এটি৷ অ্যাপটিতে কোনো ছবি বা ভিডিও দেখার পর সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়৷ অনেকে তাই বিশ্বাসের সঙ্গে সেই অ্যাপে ছবি, ভিডিও আদান-প্রদান করে৷
বাস্তবতা হচ্ছে, স্ন্যাপচ্যাট মোটেই নিরাপদ নয়৷ কেননা, স্মার্টফোনে স্ক্রিনশট নেয়ার একটা অপশন আছে৷ সেটা ব্যবহার করে স্ন্যাপচ্যাটে পাঠানো ছবি বা ভিডিও-র স্ত্রিনশট নেয়া মুহূর্তের ব্যাপার৷ আর ডিজিটাল দুনিয়ায় কোনো কিছু ছড়িয়ে যাওয়া রোখা কার্যত অসম্ভব৷
বলছি না যে, নগ্ন ছবি যারা স্বপ্রনোদিত হয়ে তোলেন সব দায় তাদের৷ সমস্যা হচ্ছে, সেসব ছবি বেহাত হওয়ার শঙ্কা অনেক৷ আর আমাদের সমাজে নগ্নতা তো বহুদূরের ব্যাপার, একটু ঘনিষ্ঠ ছবিও বেহাত হলে বিপদে পড়েন অনেকে৷ এই তো, কিছুদিন আগেই হালের জনপ্রিয় নায়িকা পরী মনির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে৷ সেসব ছবি যে তার নয়, সেকথা সরাসরি বলেননি তিনি৷ বরং ইন্টারনেটে হয়রানির শিকার হয়ে রাতারাতি বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন নায়িকা৷
প্রয়োজন সচেতনতা, আইনের প্রয়োগ
বাংলাদেশি মডেল প্রভার সেক্স ভিডিও এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেটে৷ ছেলেবন্ধুকে হয়ত অনেক বিশ্বাস করেছিলেন তিনি৷ তাই ভিডিও করার সময় ছিলেন বেশ সক্রিয়৷ কিন্তু সেই বিশ্বাস নষ্ট হতে বেশি সময় লাগেনি৷ ফলাফল ইন্টারনেটেই দেখা যাচ্ছে৷ স্মার্টফোনে ছবি তোলা বা ভিডিও করার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা আপনাকে রক্ষা করতে পারে বড় বিপদ থেকে, আর সেটা নারী ও পুরুষ – উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
পাশাপাশি দরকার সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ৷ বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন আছে৷ সেই আইনের আওতায় অভিযোগও জমা হচ্ছে প্রচুর৷ ফলে এক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে আইনে নতুন ধারা বা নতুন আইন প্রণয়নের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷ জার্মানিতে যেমনটা হয়েছে কিছুদিন আগে৷ আদালত জানিয়েছে, সাবেক সঙ্গীর নগ্ন বা ঘনিষ্ঠ ছবি মুছে ফেলতে হবে৷ অর্থাৎ কোনো দম্পতির যদি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বা কোনো প্রেমিক-প্রেমিকা যদি আলাদা হয়ে যায়, তাহলে একজন চাইলে অন্যজনকে তাদের ছবি সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে হবে৷ এরকম আইন বাংলাদেশেও কাজে আসতে পারে৷
প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার অপরাধের পরিধিও বাড়বে, এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই৷ তবে নিজেকে সেই অপরাধের ভুক্তভোগী করতে না চাইলে সবসময় সচেতন থাকতে হবে৷ নগ্ন ছবি হোক কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হ্যাকারের হানা – সচেতন হলে অনেকটাই মোকাবিলা সম্ভব৷ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের থাকা অ্যাকাউন্ট থেকে কিছুদিন আগে চুরি হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা৷ প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, সেটি ফেডারেল রিজার্ভের গাফেলতিতে হয়েছে৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাংকে সব নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের, মানে যার অ্যাকাউন্ট তার নামে, তার বেশেই টাকা ‘ট্রান্সফার’ করতে বলা হয়েছিল৷ ফলে অ্যামেরিকার ব্যাংকটি টাকা দিতে অস্বীকার করতে পারেনি৷ তাহলে দায়টা এখানে কার? সচেতনতায় ঘাটতি কার ছিল?
Social Plugin